অনুষ্ঠিত হলো ফুলকুঁড়ি আসরের “জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ ২০২৫”
১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) ঢাকার ইন্সটিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ’২৫’। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদের কাউন্সিলর ও ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক সাইফুল ইসলাম। পরিচালনায় ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসরের সহকারী প্রধান পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম।
উক্ত প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসরের উপদেষ্টা সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধান পরিচালক । এছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাক্তন প্রধান পরিচালক হাসান মুর্তাজা, এসএম মিজানুর রহমান, এ্যাড. অলী ইব্রাহীম ও হুমায়ুন কবীর। আরও উপস্থিত ছিলেন মাসিক ফুলকুঁড়ির নির্বাহী সম্পাদক নাঈম আল ইসলান মাহিন।
দেশজুড়ে বিস্তৃত ফুলকুঁড়ি আসরের ৭৬টি শাখার পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক উক্ত প্রতিনিধি সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন দিক, কাজের ধরন, আদর্শ শিশু সংগঠক, চৌকস লোকবল তৈরি সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতিনিধি সমাবেশে ফুলকুঁড়ি আসরের বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং নতুন বছরের কাজের পরিকল্পনা প্রনয়ণ করা হয়। প্রধান অতিথি জয়নুল আবেদীন আজাদ তার বক্তব্যে শাখা প্রতিনিধিদের মাঝে ফুলকুঁড়ি আসরের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরেন। এ সময়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে সকল শিশুর কাছে সত্যের আহবান পৌঁছাতে হবে এবং শিশুদের নীতি-নৈতিকতার মধ্য দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। ফুলকুঁড়ি আসরের সভাপতি শিশুপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ গুরুতর অসুস্থ থাকায় অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তার সুস্থতা কামনায় দু’আ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রাক্তন প্রধান পরিচালক হাসান মুর্তাজা।
সবশেষে নাট্যোৎসব’২৪ এর পুরস্কার বিতরণ এবং সকল কাজের ভিত্তিতে মহানগরী-শহর-জেলা ৩টি পর্যায়ে ৩টি শাখাকে শ্রেষ্ঠ শাখা ঘোষণা করা হয়। নাট্যোৎসবে পুরস্কার প্রাপ্ত শাখাসমূহ যথাক্রমে- খুলনা মহানগরী (১ম), রাজশাহী মহানগরী (২য়) এবং ঢাকা মহানগরী কিশলয় (৩য়)। শ্রেষ্ঠ শাখা: মহানগরী পর্যায়ে চট্টগ্রাম মহানগরী সাগরিকা, শহর পর্যায়ে দিনাজপুর শহর এবং জেলা পর্যায়ে নওগাঁ জেলা।
উল্লেখ্য যে, ফুলকুঁড়ি আসর একটি জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন যেটি ১৯৭৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশব্যাপী শিশুকিশোরদের মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। যার নিবন্ধন নং ঢ-০৪৫৯। শিশুকিশোরদের নির্মল চরিত্র, সুন্দর মন আর সুস্থ দেহের অধিকারী, সুনাগরিক এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফুলকুঁড়ি আসর পাঁচটি বিভাগের অধীনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।