পরিচিতি
আজ যারা কুঁড়ি, আগামীতে তারাই ফুটবে ফুল হয়ে। আপন রঙে রাঙিয়ে দিবে এই পৃথিবীকে। ফুলের সৌরভে বাগানে নেমে আসবে খুশির জোয়ার। আমাদের সমাজেও আমরা সে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। সমাজ থেকে দূর করতে চাই অজ্ঞানতা, কুসংস্কার আর অশিক্ষার অন্ধকার। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ, ঘৃণা নয়; আমরা চাই সত্য, ন্যায় ও ভালবাসার বিজয়। তাই এ সমাজে ফোঁটাতে চাই ফুল। জ্ঞানের উজ্জ্বল আলো আর চরিত্রের সৌরভ ছড়িয়ে সে ফুল হাসবে আমাদের সমাজে। এমনই হাজারো ফুল ফুটাবার দীপ্ত শপথেই ফুলকুঁড়ি আসরের জন্ম।
ফুলকুঁড়ি আসর দেশ সেবায় ব্রত সদা সুন্দরের পতাকাবাহী শিশুকিশোরদের একটি সংগঠন। জ্ঞানের সাধনায় সদা তৎপর শিশুকিশোরদের এক সুশৃঙ্খল সমাবেশ। সৎ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুকিশোরদের এক সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা।
আদর্শ ও উদ্দেশ্য
ফুলকুঁড়ির আদর্শ
ফুলকুঁড়ি আসরের আদর্শ ৫টি। সেগুলো হচ্ছে- একতা, শিক্ষা, চরিত্র, স্বাস্থ্য ও সেবা।
ফুলকুঁড়ির উদ্দেশ্য
কোমলমতি শিশু-কিশোরদের একতাবদ্ধ করে শিক্ষা ও শরীরচর্চামূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে চরিত্রবান এবং স্বাস্থ্যবানরূপে গড়ে তুলে দেশ ও দশের সেবা করাই ফুলকুঁড়ি আসরের উদ্দেশ্য।
মূলমন্ত্র ও স্লোগান
ফুলকুঁড়ি আসরের মূলমন্ত্র হচ্ছে ‘নিজকে গড়ো’।
ফুলকুঁড়ির কাম্য সুন্দর এক পৃথিবী। যে পৃথিবী হবে সত্য, ন্যায় আর ভালোবাসার রঙে রঙিন। এজন্য সবার আগে নিজেদেরকেই গড়তে হবে। নিজেদের চরিত্রকে করতে হবে সুন্দর ও মধুর। ফুলকুঁড়ির স্লোগান তাই ‘পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো’।
আসরের ইতিহাস
ফুলকুঁড়ি আইন
১। ফুলকুঁড়িরা একে অপরের ভাই। একজন আরেকজনকে দেখলে সালাম দিবে।
২। সবসময় সত্য কথা বলতে হবে এবং কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে।
৩। বড়দের সম্মান করতে হবে, ছোটদের ভালবাসতে হবে এবং বন্ধুদের সাথে আচরণে আন্তরিক হতে হবে।
৪। অন্যের দোষ ধরার আগে দেখতে হবে সে দোষ নিজের মধ্যে আছে কি না।
৫। এক ফুলকুঁড়ি অন্য ফুলকুঁড়ির ভুল দেখলে টিটকারি না করে বা সবাইকে বলে না বেড়িয়ে সহানুভূতির সাথে তা ধরিয়ে দিবে। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে রেগে না গিয়ে সহজভাবে মেনে নিতে হবে।
৬। অহেতুক তর্ক কিংবা ঝগড়া এড়িয়ে চলতে হবে।
৭। নিয়মিত পাঠ্যবই পড়তে হবে।
৮। শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে এবং সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
৯। কোন সভা বা অনুষ্ঠানে কথা বলতে হলে অথবা বাইরে যেতে হলে পরিচালকের অনুমতি নিতে হবে।
১০। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাধ্যমত মানুষের সেবা করতে হবে।
জাতীয় রেজিস্ট্রেশন নাম্বার
জাতীয় রেজিস্ট্রেশন নাম্বার – ঢ-০৪৫৯
ফুলকুঁড়ি পতাকা
বিবরণ: ফুলকুঁড়ি পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৫:৩। পতাকার মাঝখানে দৈর্ঘ্যের ৩:১ ব্যাস বিশিষ্ট ৫ পাপড়ির একটু ফুল থাকবে। ফুলের কেন্দ্রের বৃত্তের ব্যাস হবে ফুলের ব্যাসের ৩:১। পতাকার জমিন এবং ফুলের মধ্যবর্তী বৃত্ত হবে আকাশী নীল রঙয়ের। ফুলের রঙ হবে সাদা।
ব্যাখ্যা: পতাকার ব্যবহৃত সাদা রঙ শান্তি, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। নীল রঙ আকাশের উদারতা এবং সাগরের গভীরতার প্রতীক। ফুলকুঁড়ির পাঁচটি আদর্শের প্রতীক হিসেবে পতাকার মাঝখানে সন্নিবেশিত হয়েছে একটি পাঁচ পাপড়ির ফুল।
পতাকার ব্যবহার: বিশেষ বিশেষ দিবস অথবা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাঠে বা কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা যাবে। আসর পতাকা, জাতীয় পতাকার বামদিকে অবস্থান করবে। উত্তোলিত অবস্থায় জাতীয় পতাকা, আসর পতাকার চেয়ে উঁচুতে থাকবে। পতাকা উত্তোলনের সময় সবাই দাঁড়িয়ে পতাকাকে অভিবাদন জানাবে।
মনোগ্রাম
বিবরণ: পাঁচটি পাপড়ির একটি ফুল ও একটি কুঁড়ি নিয়ে ফুলকুঁড়ি প্রতীক।
ব্যাখ্যা: আজ যারা ফুলকুঁড়ি আগামীতে তারাই ফুল হয়ে ফুটবে।