অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ফুলকুঁড়ি আসরের অনলাইন সংবর্ধনা
গত ৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০.৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় ফুলকুঁড়ি আসর ২০২০ সনে এসএসসি ও্র সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের নিয়ে অনলাইনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ফুলকুঁড়ি আসরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক এমএকে শাহিন চৌধুরী। স্বাগত কথা রাখেন সহকারী প্রধান পরিচালক অ্যাডভোকেট অলী ইব্রাহীম। সঞ্চালনা করেন ফুলকুঁড়ি আসরের শিক্ষা সম্পাদক আবরারুল হক।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য নিয়ে আসেন সহকারী প্রধান পরিচালক অলী ইব্রাহীম। তিনি ফুলকুঁড়ি আসরের কাজের ক্ষেত্রগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ফুলকুঁড়ি আসরের আদর্শ, উদ্দেশ্য নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ফুল একটা পবিত্রতার প্রতীক এবং শিশু কিশোররাও ফুলের মতো নির্মল চরিত্রের অধিকারী হবে, এ লক্ষ নিয়ে কাজ করে ফুলকুঁড়ি আসর। তিনি ফুলকুঁড়ি পত্রিকা সম্পর্কে বলেন, ফুলকুঁড়ি বাংলাদেশের একমাত্র শিশুপত্রিকা যা ৪২ বছর একটানা প্রকাশিত হচ্ছে এবং এখানে লিখে অনেক লেখক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক এমএকে শাহিন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশ গরীব নয়, কারণ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসম্পদ প্রচুর পরিমাণে আছে। কেবল সম্পদ ব্যবহারে ভুল থাকায় আমরা এত সমস্যার মধ্যে আছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে গিয়ে বলেন, এই প্রশ্ন করোনা, দেশ তোমাকে কী দিয়েছে; বরং নিজেকে প্রশ্ন করো, তুমি দেশকে কী দিয়েছ।
এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গাইডলাইনমুলক কথা বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি কম্পিউটিং এও দক্ষ হতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের ৩টি বিশেষ পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, তাদের পরিশ্রমী হতে হবে, ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চরিত্র গঠন করতে হবে এবং অনেক বেশী সেই সব স্বপ্ন দেখতে হবে, যা তাকে সবসময় তাড়িয়ে নিয়ে চলবে।
সবশেষে প্রধান অতিথির কথা নিয়ে আসেন বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ। তিনি শিক্ষার্থীদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে বলেন, আমি মানুষ হিসেবে যেখানেই থাকি না কেন, আমি শ্বাস নিব কিন্তু র্দূষিত করবো না। তবেই পরিবেশ সুন্দর থাকবে। আগে কর্তব্য পালন করতে হবে, তারপর অধিকার চাইতে হবে তবেই সমাজ ভালো থাকবে। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করতে গিয়ে বলেন, নিজের জন্য পড়ালেখা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে, কারণ আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করবে আমাদের মেধাবিকাশ। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের মধ্যে থাকা তিনটি সুপ্রিম পাওয়ারের কথা বলেন, যেগুলো হলো গতি, দক্ষতা এবং বিশেষ জ্ঞান। তিনি সবশেষে শিক্ষার্থী ও সংগঠকদের নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হয়ে আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। সারাদেশ থেকে ৬০০ এর বেশি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।